প্রেমিকাকে ফেরত দিতে চেয়ে বন্ধুর নিকট পত্র!!(সাধু-চলিত মিশ্রণ অসাধু নয় অর্থাৎ চলিতে পারে)
জানের দোস্ত বদরুল,
আশা করি, কুশলেই আছিস।
নিরুপায় হয়ে তোর নিকটে ইহজনমে আমার প্রথম পত্র রচনা করিলাম। তুই তো জানিস,নিত্যদিন আমি বাবার পকেট কেটে হাতখরচ চালাই। এমতাবস্থায় মলিকে সঙ্গে করিয়া দৈনিক চায়নিজ রেস্তোরাঁ আর মার্কেটে ঢুঁঁ মারিতে মারিতে আমার অবস্থা অপরিশোধিত কেরোসিনের মতো। তার ওপর মলিএখন বায়না ধরেছে একটা সেলফোন উপহার দিতে হবে। তুই-ই বল, বাবার পকেট কেটে যে কয়টা ধুলো-ময়লা পড়া নোট হস্তগত করিতে পারি, তা দিয়ে কি চকচকা-ঝকমকা সেট কেনা সম্ভব? তা ছাড়া এ-ও ভাবিয়াছি, সেলফোন কিনে দেওয়ার পরই নিত্যদিন সে বায়না ধরিবে, ফেক্সিলোড করিয়া দিতে হইবে।
আমার নিজেরই কোনো সেলফোন নাই। অথচ মলি সেলফোন কিনিয়া কাহার সঙ্গে গ্যাজাইবে সেটাও একটা রহস্যের ব্যাপার। বিষয়গুলি লইয়া আমার দুশ্চিন্তা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়িয়াই চলিতেছে। আমার মাথার ঘন কালো চুলের একাংশ শুভ্র বর্ণ ধারণ করিয়াছে, কতিপয় চুল দুশ্চিন্তার উত্তাপ সহ্য করিতে না পারিয়া অকালে ঝরিয়া পড়িয়া চিরপ্রশান্তি লাভ করিয়াছে!
ইত্যাকার কারণ সংঘটিত হওয়ার কারণে ইদানীং আমি বুঝতে পারছি, আমার ওপর তোর নিদারুণ অভিশাপ পড়িয়াছে।যেহেতু তোর বিশ্বাস নষ্ট করিয়া তোর সাধের প্রেমিকা মলিকে আমিই পটাইয়া ভাগাইয়া নিয়াছিলাম! দোস্ত, ইহজীবনে আর কিছু চাইব না, প্লিজ তুই উহাকে আপাতত ফেরত নিতে সম্মত হ।
পুনশ্চ : সর্বশেষ হিসাবমতে মলির পেছনে গত ছয় মাসে আমার যে ছয় হাজার তিন শত নয় টাকা ঊনপঞ্চাশ পয়সা খরচ হইয়াছে, তাহাও ফেরত চাইব না।
ইতি,
তোরই হবু বিশ্বস্ত বন্ধু
কেরামত বিশ্বাস
No comments:
Post a Comment